সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।


নির্দেশনাগুলো হলো-
১. বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
৩. খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।
৪. কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে চার মিটার দূরে থাকতে হবে।
৬. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূতত্বে থাকতে হবে।
৭. ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৮. বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকে মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।
৯. এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করুন।
১০. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
১১. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
১২. ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন।
১৩. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
১৪. বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৫. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
১৬. কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
১৭. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
১৮. বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
১৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
২০. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

WHAT IS FIRE RATED GYPSUM DRYWALL?

Gypsum is approximately 21 percent by weight chemically combined water which greatly contributes to its effectiveness as a fire resistive barrier. When gypsum drywall is exposed to fire, the water is slowly released as steam, effectively retarding heat transmission. Fire rated gypsum drywall is more fire resistant because it contains glass fiber reinforcement and other additives within its specially formulated gypsum core to help it hold up longer to a fire exposure. Fire  rated drywall is referred to as “Type X” and must be third-party certified by an independent testing and listing agency such as UL (Underwriters Laboratories Inc.) and ULC (Underwriters’ Laboratories of Canada) to meet the fire performance requirements prescribed in the ASTM C1396 (CAN/CSA-A82.27) Standard Specification for Gypsum Board. Types of Fire Rated Gypsum: Type X fire rated gypsum drywall that is 5/8 -inch (15.9mm) thick and installed on each side of nominal 2-inch x 4-inch (38x89mm) ...

Pipe Schedule Method for Firefighting Sprinkler System

Pipe Schedule Method for Firefighting Sprinkler System                                     Pipe Schedule Method for Firefighting Sprinkler System  The water demand for firefighting sprinkler systems shall be determined by either the pipe schedule method or the hydraulic calculation method, in this article we will discuss the pipe schedule method. What is pipe schedule system?! According to NFPA 13, Pipe Schedule System is defined as sprinkler system in which the pipe sizing is selected from a schedule that is determined by the occupancy classification and in which a given number of sprinklers are allowed to be supplied from specific sizes of pipe. Where can we use pipe schedule method?! New systems of 465 m2 or less. Additions or modifications to existing pipe schedule systems. Classification of occupancies according to hazard NFPA 13 classifies the occupa...

আপনার মনও মস্তিস্ক দিয়ে নিয়ন্ত্রন করার মতন ৮টি জবরদস্ত গ্যাজেট

আপনার মনও মস্তিস্ক দিয়ে নিয়ন্ত্রন করার মতন ৮টি জবরদস্ত গ্যাজেট এমন একটি ভবিষ্যতের কথা ভাবুন তো যেখানে আপনি আপনার মনের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সব কিছু নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। ব্যাপারটা আসলে আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমরা আজ সেই নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া পেয়েছি। এই টিউনে আপনাদেরকে ৮ টি বিদ্যমান গ্যাজেটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো যা আপনার মস্তিস্কের কমান্ডের মাধ্যমে আপনার বাস্তব জীবনের কাজগুলোকে সম্পূর্ণ করবে। তাহলে চলুন এই আকর্ষণীয় বিষয়গুলোকে আরও উৎঘাটনের জন্য মেইন বিষয়গুলো আলোকপাত করা যাক। ১. Emotiv EPOC আমরা ও আপনারা সবাই তো সবাই কম্পিউটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে "মাউস" ও "কীবোর্ড" এর উপর নির্ভরশীল। এমন যদি হত যেমন আপনার মনকে কাজে লাগিয়ে সেই একই কাজ করতে পারছেন? হ্যাঁ নিউরো-টেকনলোজির কল্যাণে আজ তা সম্ভব। আর সে অসবভব কে সম্ভব করেছে  EPOC  । এটি একটি উচ্চ রেজল্যুশন ও অনেকগুলো চ্যানেলের সমন্বয়ে তারবিহীন নিউরোহেডসেট। এতে রয়েছে ১৪টি সেন্সর ও দুটি ইলেক্ট্রিক সিগনাল যা বাস্তব সময়ের ব্যবহারকারীর চিন্তা, অনুভূতি এ...