জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, কাজের সময় একজন শ্রমিকের মাথায় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। যারা কংক্রিটের কাজে যুক্ত, তাদের হাতে গ্লাভসও পরতে হচোখের জন্য ক্ষতিকর কাজ যেমন ড্রিলিং, ওয়েল্ডিং, ঢালাইয়ের সময় শ্রমিকদের চশমা ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ওয়েল্ডার ও গ্যাস কাটার ব্যবহারের সময় রক্ষামূলক সরঞ্জাম যেমন গ্লাভস, নিরাপত্তা বুট, এপ্রন ব্যবহার করতে ভবনের উপরে কাজ করার সময় শ্রমিকের নিরাপত্তায় বেল্ট ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড.তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, বেশিরভাগ জায়গায় উপেক্ষিত শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয.
আর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব বলেছে, নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলেই ‘অন্যান্য খাতের তুলনায় আবাসন খাতে দুর্ঘটনার হার কআর শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়টি যাদের দেখার কথা, সেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বলছে লোকবল সঙ্কটের কথা।.
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের হিসাবে, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ১ হাজার ১৯৬ জন নির্মাণ শ্রমিক মারা গেছেন কাজের সময় দুর্ঘটনায়। এ সংস্থা বলছে, প্রায়ই দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন আরো অনেকেই,যাদের উপর হয়তো নির্ভর তাদের পুরো পরি.
“কনট্রাকটর দড়ি আর বাঁশ দিয়া বলে মাচা বানাইয়া কাম কর। আমাগো নিরাপত্তায় আর কিছুই দেয় ন_____এভাবেই আহাজারি করে জানায় জৈনিক নির্মান শ্রমিক.
২০১৬ জুন মাসে মুগদায় এক ভবনের গাঁথুনি দেওয়ার সময় মাচা ভেঙে নিচে পড়ে যান নির্মাণ শ্রমিক মতিউর রহমান। এরপর তার ওপর দেয়াল ভেঙে পড়ে।ওই দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেও কোমরে চোট পান মতিউর। এখন আর ভারি কাজ করার ক্ষমতা না থাকায় তিনি তার উপযোগী কাজ খুঁজে দিতে অনুরোধ করেন কর্তৃপক্ষ।পায়নি কোন ক্ষতি পূরন , প্রপার চিকিৎসা , তার সাথে তার পুরো পরিবার ও যেন ভেসে গিয়েছে, এরকম হাজারো মতিউর আছেন আ.
এসব দেখার ও কেউ ই নাই।
জীবনের যেন কোন দাম নাই এদেশে।
.
📷 সাফায়েত সৌরভ।
Engineer
উত্তরমুছুন