প্রাইভেট জবে অভিজ্ঞতা কেন চায়?
১) আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং/সাধারন শিক্ষাব্যবস্থায় কাজ শেখার চেয়ে থিউরি পড়ে ভাল রেজাল্টধারীর সংখ্যাই বেশি। আন্যন্ন শিক্ষাব্যবস্থার মত টেকনিক্যাল শিক্ষাও ক্লাস এবং পরীক্ষা নির্ভর। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে যেসকল প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতী ব্যবহৃত হয়, তার কিছুই নেই আমাদের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পলিটেকনিক গুলোতে। পাঠ্যবইয়ে যে সকল ব্যবহারিক আছে, কাজ শেখার জন্য এইসব কিছুই না।ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে আমরা বের হই কিছু বই পড়েই। বাস্তব কাজ কিছুই পারিনা। ছাত্রাবস্থায় ব্যবহারিক কাজ শেখার জন্য ট্রেনিং সেন্টারে যেতে হয়।কেন ইন্সটিটিউট হতে ৪বছরে শেখার সুযোগ হয়না।
২) ছাত্রজীবনে আমরা চলি রাজপুত্রের মতকরে। অনেক শিক্ষক আন্তরিক থাকলেও, ছাত্রছাত্রীদের অনাগ্রহের কারনে অল্পদিনেই শেখানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আবার আমরাই পাস করে বের হয়ে প্রতিষ্ঠানকে দোষারোপ করি। একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নুন্যতম কাজ না শিখে, শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে বের হই।
৩) আমাদের কারিকুলামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকার পরেও ছাত্রশিক্ষক উভয়ের অবহেলার কারনে অজানাই থেকে যায়।
ব্যক্তিগত স্কিল বাড়াতে কমিউনিকেশানের গুরুত্ব অসীম। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পরে ভাইভা দিতে আমরা ভয় পাই। অফিস কিংবা ফ্যাক্টরিতে কমিউনিকেশন স্কিল থাকে দুর্বল।
৪) ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের কাজ শেখানোর জন্যই কোটি কোটি টাকা সরকার খরচ করে। জনগনের টাকায় হাজার কোটি টাকা দিয়ে কারিগরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহ ভর্তুকি দিয়ে সরকার চালায়। প্রতিবছর বরাদ্ধ দেয়া হয় যন্ত্রপাতী ক্রয় এবং ছাত্রদের মানোয়ন্ননের জন্য। কিন্তু দুর্নীতির কারনে সব টাকা লোটপাট হয়। অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকে ল্যাবরুম।
৫) ছাত্রদের পড়ামুখী এবং কাজমুখী করা শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব। বর্তমানে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য ছাত্রদের উপ-বৃত্তি দিচ্ছে জাতিসংঘ এবং কানাডা সরকার। কিন্তু যুগোপযুগী শিক্ষকের চরম অভাব কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থায়। তাই আমরা ২-৩দিন পড়েই পাস করি আর একটা ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট নিয়ে বের হই। প্রতিবছর একই প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার কারনে, পাস করাও তুলনামুলক সহজ।অথচ ইঞ্জিনিয়ারিং মানে ব্যবহারিক নির্ভর হাতে-কলমে শিক্ষা।
৬) সরকার শিক্ষিত বেকারদের জন্য ব্যাংক লোন সেবা চালুকরেছে কিন্তু এই সেবা পাচ্ছে কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিকট আত্মীয়রা অন্য কেউ নিতে হলে পোহাতে হয় নানান জামেলে ও হাজারও শর্ত্য।
৭) সবজাগায় এখন চলছে স্বজনপ্রীতি এজন্য দরিদ্ররা কোন দিন উপরে উঠতে পারবে না সে যদিও শিক্ষত হয়।আর বারবে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা।
৮)আমরা হয়তো পোশাক বা কথায় আধুনিক কিন্তু মনে বা বাস্তবে নয় কাজেতো নাই বলেই চলে।৪বছর পড়াশুনা করেও আমরা
ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছুই পারি না। সফটওয়্যার স্কিল বলতে কিছুই থাকে না। অফিস ম্যানেজমেন্ট বুঝি না। কমিউনিকেশান
স্কিল থাকে দুর্বল। তাই পুথিনির্ভর এই শিক্ষা দিয়ে, পাস করার পরে আমরা একটি প্রতিষ্ঠানকে কিছুই দিতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে সব প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞ মানুষ খুজে। কারন একজন ব্যবসায়ী আপনাকে নিয়োগ দিবে, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য। আপনাকে কাজ শেখানোর জন্য নয়। আপনাকে কাজ শেখানোর দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের.
https://www.facebook.com/anisurrahmanzuall
#Collected
১) আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং/সাধারন শিক্ষাব্যবস্থায় কাজ শেখার চেয়ে থিউরি পড়ে ভাল রেজাল্টধারীর সংখ্যাই বেশি। আন্যন্ন শিক্ষাব্যবস্থার মত টেকনিক্যাল শিক্ষাও ক্লাস এবং পরীক্ষা নির্ভর। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে যেসকল প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতী ব্যবহৃত হয়, তার কিছুই নেই আমাদের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পলিটেকনিক গুলোতে। পাঠ্যবইয়ে যে সকল ব্যবহারিক আছে, কাজ শেখার জন্য এইসব কিছুই না।ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে আমরা বের হই কিছু বই পড়েই। বাস্তব কাজ কিছুই পারিনা। ছাত্রাবস্থায় ব্যবহারিক কাজ শেখার জন্য ট্রেনিং সেন্টারে যেতে হয়।কেন ইন্সটিটিউট হতে ৪বছরে শেখার সুযোগ হয়না।
২) ছাত্রজীবনে আমরা চলি রাজপুত্রের মতকরে। অনেক শিক্ষক আন্তরিক থাকলেও, ছাত্রছাত্রীদের অনাগ্রহের কারনে অল্পদিনেই শেখানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আবার আমরাই পাস করে বের হয়ে প্রতিষ্ঠানকে দোষারোপ করি। একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নুন্যতম কাজ না শিখে, শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে বের হই।
৩) আমাদের কারিকুলামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকার পরেও ছাত্রশিক্ষক উভয়ের অবহেলার কারনে অজানাই থেকে যায়।
ব্যক্তিগত স্কিল বাড়াতে কমিউনিকেশানের গুরুত্ব অসীম। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পরে ভাইভা দিতে আমরা ভয় পাই। অফিস কিংবা ফ্যাক্টরিতে কমিউনিকেশন স্কিল থাকে দুর্বল।
৪) ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের কাজ শেখানোর জন্যই কোটি কোটি টাকা সরকার খরচ করে। জনগনের টাকায় হাজার কোটি টাকা দিয়ে কারিগরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহ ভর্তুকি দিয়ে সরকার চালায়। প্রতিবছর বরাদ্ধ দেয়া হয় যন্ত্রপাতী ক্রয় এবং ছাত্রদের মানোয়ন্ননের জন্য। কিন্তু দুর্নীতির কারনে সব টাকা লোটপাট হয়। অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকে ল্যাবরুম।
৫) ছাত্রদের পড়ামুখী এবং কাজমুখী করা শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব। বর্তমানে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য ছাত্রদের উপ-বৃত্তি দিচ্ছে জাতিসংঘ এবং কানাডা সরকার। কিন্তু যুগোপযুগী শিক্ষকের চরম অভাব কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থায়। তাই আমরা ২-৩দিন পড়েই পাস করি আর একটা ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট নিয়ে বের হই। প্রতিবছর একই প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার কারনে, পাস করাও তুলনামুলক সহজ।অথচ ইঞ্জিনিয়ারিং মানে ব্যবহারিক নির্ভর হাতে-কলমে শিক্ষা।
৬) সরকার শিক্ষিত বেকারদের জন্য ব্যাংক লোন সেবা চালুকরেছে কিন্তু এই সেবা পাচ্ছে কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিকট আত্মীয়রা অন্য কেউ নিতে হলে পোহাতে হয় নানান জামেলে ও হাজারও শর্ত্য।
৭) সবজাগায় এখন চলছে স্বজনপ্রীতি এজন্য দরিদ্ররা কোন দিন উপরে উঠতে পারবে না সে যদিও শিক্ষত হয়।আর বারবে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা।
৮)আমরা হয়তো পোশাক বা কথায় আধুনিক কিন্তু মনে বা বাস্তবে নয় কাজেতো নাই বলেই চলে।৪বছর পড়াশুনা করেও আমরা
ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছুই পারি না। সফটওয়্যার স্কিল বলতে কিছুই থাকে না। অফিস ম্যানেজমেন্ট বুঝি না। কমিউনিকেশান
স্কিল থাকে দুর্বল। তাই পুথিনির্ভর এই শিক্ষা দিয়ে, পাস করার পরে আমরা একটি প্রতিষ্ঠানকে কিছুই দিতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে সব প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞ মানুষ খুজে। কারন একজন ব্যবসায়ী আপনাকে নিয়োগ দিবে, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য। আপনাকে কাজ শেখানোর জন্য নয়। আপনাকে কাজ শেখানোর দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের.
https://www.facebook.com/anisurrahmanzuall
#Collected
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন